সম্পাদকীয়
অর্ঘ্য দত্ত
মোটামুটি ভাবে সাত মাস। মাত্রই সাতটা মাস। এই যে এরই মধ্যে শতকরা প্রায় সত্তরভাগ মানুষের জীবন বদলে গেছে, বদলে গেল, সে কি শুধুই বাইরের পরিবর্তন! না কি জীবন সহজ হয়ে যাচ্ছে? কিংবা জীবনের চলন? পর্ণমোচীর মতো জীবন থেকে ঝরে যাচ্ছে অতিরিক্ত চাহিদা? পাল্টে যাচ্ছে অভ্যাসের জটিল বিন্যাস? সবার নয় নিশ্চিত, তবে অনেকেরই। খুব গভীরে কোথাও খসে পড়ছে আলগা অলংকার, কেটে বসা আচারের শৃঙ্খলও। টের পাচ্ছি। টের পাচ্ছি নিজের ভেতরে, নিজের বাইরেও। আর এই নিরাভরণ জীবনেরই ছায়া পড়ছে, ছায়া পড়বে যেমন আমাদের প্রাত্যহিকতায়, তেমনি আমাদের লেখায়ও। অন্ততঃ পড়ার কথা। হয়তো ধীরে তার চিহ্ন পড়বে, তবু সৎ লেখালিখির গায়ে থেকে যাবে গভীর দাগ। একদিন অনেক দূর থেকে দাঁড়িয়ে চোখে পড়বে সেই সব সময়ের অভিজ্ঞান।
সেপ্টেম্বরের শেষেই এই সংখ্যা প্রকাশের পরিকল্পনা ছিল। পারিনি। পারলাম না কারণ আমরা তিনজনই, মানে, পত্রিকা সম্পাদনায় যারা সক্রিয়, ব্যক্তিগত দুর্যোগের মধ্যে দিয়ে গেলাম, যাচ্ছি। অরিন্দমের কোভিডাক্রান্ত হওয়া, সিদ্ধার্থর মাতৃবিয়োগ এবং আমার ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে কলকাতায় অপ্রস্তুত দীর্ঘ-যাপন, এসবই পত্রিকা প্রকাশে অনাকাঙ্ক্ষিত বিলম্ব ঘটালো।
তাছাড়াও, নতুন করে সাজানো হলো ‘বম্বেDuck’। ডিজাইন পরিবর্তন, নতুন প্লাটফর্মে পোর্ট করা, দীর্ঘমেয়াদী ডোমেইন কেনার পদ্ধতির মধ্যে দিয়ে যাওয়া, এসবেও কিছুটা দেরি হয়ে গেল। যাই হোক, তবু তো হলো। এসব বিষয়ে কারিগরি সাহায্য করার জন্য ভ্রাতৃপ্রতিম রোহন কুদ্দুসকে জানাই আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।
শরৎ সংখ্যা সাধারণ ভাবে উৎসব সংখ্যা হলেও এই সংখ্যায় কোনোরকম আড়ম্বরের ঘটা নেই। করা গেল না প্রতিটি লেখার জন্য অলংকরণ। প্রচ্ছদ ও কবিতাগুলির অলংকরণ করেছে অরিন্দম গঙ্গোপাধ্যায়। অন্যান্যবারের মতো লেখা চেয়ে কোনো পোস্টও দেওয়া হয়নি প্রকাশের অনিশ্চয়তার জন্য। কবি-লেখক বন্ধুদের স্বতঃপ্রণোদিত পাঠানো কিছু লেখা এবং কিছু আমন্ত্রিত লেখা নিয়ে দ্রুত তৈরি করা হলো এই সংখ্যা। এ ছাড়া উপায় ছিল না।
চাই, জীবন আবার ফিরে পাক তার স্বাভাবিক ছন্দ। কিন্তু এ জীবন থেকে যে অপ্রয়োজনীয় গতি, যা কিছু অপচয়, যত অভ্যাসের দাসত্ব ঝরে গেছে তা যেন আর সহজে ফেরৎ না আসে। ফিরে আসুক সহজতা ও সারল্য, স্বাস্থ্য ও বিবেক। ফিরে আসুক মানুষের বেঁচে থাকার উপায় ও অধিকার।
বম্বেDuck-এর পক্ষ থেকে সমস্ত লেখক ও পাঠক বন্ধুদের জানালাম আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা। সবাই ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন। অন্যকেও সুস্থ রাখুন।
Gorachand Chakraborty
November 2, 2020 |সহজ সত্য কথায় সুন্দর করে সম্পাদক সবকিছু বলে দিল। অপূর্ব।
Gorachand Chakraborty
November 2, 2020 |সুন্দর সম্পাদকীয়।
UTTAM BISWAS
November 2, 2020 |সৎ এবং নির্ভার সম্পাদকীয়! মুখিয়ে থাকি এই কলমটির জন্যে।
সকল কবি ও লেখককে শ্রদ্ধা জানাই।
অর্ঘ্য দত্ত
November 2, 2020 |ধন্যবাদ।
মানস চক্রবর্ত্তী
November 3, 2020 |বড্ডো থমথমে সব । এর মধ্যে একটু ভার লঘু হলো মনে হচ্ছে । মনের ভার গো । মন ই তো খুশ থাকতে চায় । তা এই সম্পাদকের কাছে পেয়ে গেলাম । থ্যাঙ্কু ।
অর্ঘ্য দত্ত
November 3, 2020 |ধন্যবাদ। লেখা অব্যহত থাকুক।
Mandira Ganguly
November 3, 2020 |অনেক শুভেচ্ছা
Shubhasish Kanjilal
November 4, 2020 |Editorial narrative khub bhalo Arghya
অর্ঘ্য দত্ত
November 4, 2020 |Thank you, Kanjilal damn.
অর্ঘ্য দত্ত
November 4, 2020 |Please read Kanjilal da.
Nibedita Paul
November 4, 2020 |বম্বেDuck সংখ্যা বের হলে আগে সম্পাদকীয় পড়ি গভীর আগ্রহে। ভালো লাগলো। হাতে অনেক দুঃখ সংবাদ ও জানতে পারলাম। সিদ্ধার্থ দার মাকে জানাই প্রণাম 🙏 উনার আত্মার শান্তি কামনা করি।