তিনটি কবিতা
মানস চক্রবর্তী
এসো তর্পণ এসো
যে পর্যন্ত তাকালে পাতার হলুদ ইশারা আর তার ওপর ঘুমিয়ে পড়া একটা রঙিন ফড়িং
একটু পরেই ঝাঁপিয়ে পড়বে একটা গিরগিটি আর তুমি দুই করতলে চোখ ঢেকে চিৎকার করে বলবে, না…
আমরা হাত ধরা ধরি করে গঙ্গার পাশে বসে নৌকো দেখব বাচাল ঢেউ দেখব এমনকি আলো একটু আড়ালে গেলে তোমার বুকে ঝুঁকে দেখব মাংসের ঢেউ…
তুমি যে পর্যন্ত গিরগিটি না দ্যাখো
তুমি তারপর পাঠিয়ে দেবে তোমার ঠোঁট, যা নোনতা
আমিও ঠোঁটকে চোখ ভাববো
আর আমরা দুজনে হলুদ পাতাটার জন্যে রঙিন ফড়িংটার জন্যে মৌন হবো কিছুক্ষণ
একটা বাঘের কথা
তারপর কী যে হলো ছাই
তাড়াহুড়ো করে তোমার ব্লাউজ খুলতেই কোথা থেকে একটা বাঘ এসে আমার ঘাড় কামড়ে তুলে নিয়ে গেল
তুমিও সাত্তাড়াতাড়ি বেলাউজ টেলাউজ পরে দরজার খিল এঁটে বসে থাকলে গভীর নদীতে
জলে যে তোমার রজঃস্বলা ঘ্রাণ
তোমাকে কুমীরের মতো কেউ খেতে আসছে তখন
আমি আ বা র ফিরে আসি
চোখে টকটকে নেশা
এভাবে রোজ বা মাঝেমাঝে বা ক্বচিৎ কদাচিৎ ইচ্ছে হলেও তোমার বুক খুঁজে পাই না
সব সময় একটা বাঘ আমায় লুঠ করে
পাথর প্রত্যাশা
দেখুন ওই পাহাড়টাকে
ওই শাল গাছের নাভি বরাবর ঘাড় ঘুরিয়ে বসে কাঠবেড়ালিটা
দেখুন ওই স্বচ্ছতোয়া নদী
ওই জল ওই ছুট
এমনকি এক কোমর নীচে
ওই আশ্চর্য পাথরটাকে
যা একমনে ডুবে আছে জলে
ওসব আমি আর আপনি
দুজনেই ভালোবেসে ভাগাভাগি করেছি এতদিন
আজ পাথরটা পেতে আমি আর আপনি
জলের তলায়
পাড়ে দাঁড়িয়ে মে’টা দেখছে
বুজগুড়ি কাটছেনা একটাও
এবার ফিরে যাচ্ছে ও