সবর্ণা চট্টোপাধ্যায়ের কবিতা
১.
সংসার
হারিয়ে যাচ্ছে কথাদের গতিপথ
পাথর টুকরো হতে হতে
ঘোড়ার খুরের মতো ফেলে যাচ্ছে ছাপ।
জানতে পারছ না কিছুই।
এই যে এত ঢেউ ওঠে রোজ
নিজেকে শান্ত করতে করতে
হাঁপিয়ে যায় রাত।
কত অভ্যাস একটানা জীবন হয়ে ওঠে।
ভাবি, এই তো নতুন পথ
মায়েদের দেখেছি ঠিক যেমন করে
হারিয়ে ফেলত ক্রমশ,
আমার শরীর থেকে ঠিক তেমনি গন্ধ ওঠে।
তুমিও চিনতে পারো না আর…
ভুরু তুলে প্রশ্ন করো, এ সংসার কার?
বলি, হয়ত একা চলার!
২.
একটা ঘর
একটা ঘর ক্রমশ পৃথিবীর মতো
ঘুরছে মাথার চারপাশে
বিছানার মাঝে বসে দেখি
দেওয়ালগুলো চাপতে চাপতে চেপে
ধরছে মাথার খুলি,
তুমি নেই।
এ অন্ধকার শুধু আমার
নাভির ওপর গলছে গলন্ত মোম
তবু সে দহন সহ্য করার।
অসহনীয় স্তব্ধতা
শব্দ নেই। নিঃশ্বাস নেই।
কারণ নেই আর লড়াই করার!
৩.
আজকাল মৃত্যু দেখতে পাই
আজকাল মৃত্যু দেখতে পাই
নিজের!
একটা পথ
চারদিক ধোঁয়া
হেঁটে যায় বিষণ্ন, একা
হয়ত বোঝেনি কোনদিন কেউ
এ বেঁচে থাকা
এত আলো
সবই তো তোমার ছিল।
যদি হঠাৎ স্তব্ধ হয়ে যাও সেই তুমি ?
অন্ধকারের গভীরেও কিছু অন্ধকার থাকে।
কখনো সময় পাওনি ভেবে দেখার
হারিয়ে যেতে যেতে অপেক্ষাও শেষ হয়ে
যায় একদিন
ছাইয়ের গাদায়!
Arundhati sahagupta
March 22, 2021 |প্রথম দ্বিতীয় পেরিয়ে তৃতীয়টিতে থেমে থেমে পড়লাম।আবার।আবার পড়া।কেউ যদি ছুঁয়ে যায় নির্জন কোণ কোনো—এমনই তো হয় ।শুভেচ্ছা।
রবীন বসু
April 11, 2021 |তিনটি কবিতাই সুন্দর। অভিনন্দন।