সংবৃত শোক, এবং একটি অপটিমিস্টিক লেন্স
সঞ্চালিকা আচার্য
১।
এই ক্ষয়িষ্ণু মাটির নীচে আছে কোনো মৌলিক লাল? কিন্তু শোনো, এখন হঠাৎ থেমে গেলে ফিসফাস কথা হবে। নিশ্বাসে কাঁচা পাঁকালের গন্ধ নিয়েও আমাদের কথা বলে যেতে হবে। এই সজল পৃথিবীতে শুভলগ্ন চলে যায় অভিষেকহীন। আমাদের চাহনির সীমান্ত জুড়ে এক ভয়েড, পূর্ণ করো পাখোয়াজ তোমার মহাদ্যুতিময় ত্রিতালে।
২।
বাঁজা আমলকী গাছে মুনিয়ার বাসা। সেই গাছও কেটে দেওয়া হবে একদিন। কেননা ফল না দিলে অন্তত কাঠ দিক― প্রমাণ দিক ব্যবহারযোগ্যতার! সেদিন কল্যাণীদি চশমা মুছবে বারবার। তার অর্জুন গাছ বহু বহু দূরে। কার দিকে মুখ করে শুয়ে আছে ভোলাটাইল প্রেমময়তায়? কাকে টেনে খোলে? ভেবো না, ভেবো না সে কথা।
৩।
উদ্দেশ্যহীন হও। কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর তাগিদবিহীন। বিবর্ণ সূর্যাস্তের দিকে তাক করে ও কার সহজ ক্যামেরা? হঠাৎ ঝলকাবে কোনো অসম্ভব রঙ, এই ত্যারছা সময়ে?
৪।
মুছে গ্যাছে ভাষা, পুড়ে গ্যাছে পুথি, ট্যাপেস্ট্রি। যা কিছু আমাদের জুড়ে রেখেছিল। বহু ধ্বংসের শেষে তবু শুধু ধুলো নয়… এই আফটারম্যাথে কিছু নতুন বুনোফুলও, ঝরে যাওয়া পাতাদের নীচে ধুকপুক।
৫।
যতখানি শীত ভেবে রেখেছিলে, দেখবে এখনো ততটা প্রাসঙ্গিক নয় কল্পিত হিম। একটা প্রত্যাখ্যাত পাখি দৃশ্যের ভেতর উড়ে আসছে আবার, তোমাকে তুমুল ডাকছে।