পাখি হওয়ার সাধনায়

আমিনুল ইসলাম


তড়িৎ প্রবাহের
অদৃশ্য অদ্ভুত রহস্যময় প্রাচীন 
এক তাড়নায় 

জ্বলনশীল সব সমাদর

মনস্কামের মেঘ গর্জনে
অভিধানের স্বর ও ব্যঞ্জন প্রকট হয়

আকাশের তারায় ও গাছের ছত্রছায়ায়
সময় মোতাবেক আলপিনে গাঁথা
এসব দৃশ্য পরস্পর~



অণু থেকে পরমাণু তথা ঈশ্বর কণায়
পৌঁছে গেলেই কিছুটা স্বস্তির বিশ্বভ্রমণ

এক লহমায় কতো সহস্র লহরি 
কত-শত জ্যোৎস্না ফুটেছিল শাখায় 

পূর্বাপর অণু থেকে পরমাণু তথা ঈশ্বর 
ডুবিয়ে রেখেছেন এক অমোঘ গ্রন্থিতে স্নায়ুদের

আর 
শৃঙ্খল ভাঙার তাগিদেই পাখি নীলিমায় 
ভাসিয়ে দেয় তার অবস্থান 



উড়ান সম্পর্কে আমার ব্যক্তিলব্ধ ধারণাদের
এখন শারদ-অবকাশ 

তাছাড়া
সদ্য কাশফুলের অস্তিত্ব টের পেয়েছেন মমতাময়ী 

আসলে মা মানেই মমতার সমুদ্র~


কিন্তু যিনি এসবের বাইরে নিজেকে আড়াল রেখেছেন…


শিকার ভালো 

নতুনভাবে কিছু দেখাকেও 
এই ভালোবাসার আওতায় রাখা যায়

অযথা রক্ত-প্লাবন মানেই শিকার নয়

এই সহজ স্বীকারোক্তি একান্ত নিজের মনে 
আর কতদিন ফাঁসদিয়ে গিলে রাখবো 



সাধনা = নিরন্তর

যা কঠোর উপলব্ধির দিকে ছড়িয়ে দেয় ডালপালা 

যেখানে গড়ে ওঠে পাখির সাম্রাজ্য

ফুল-ফল-মধু ও নানান উপকরণ 


কত সাধনায় পাখিজন্ম ~

এসব প্রশ্নমালা স্ক্রল হয়ে ফিরে আসে কিনারায় 

একটা নদী বিস্তীর্ণ বইছে ক্যামেরায় ~



একটা জীবনচক্র মেনে 
উৎস থেকে 
সোনালী হরিণের পায়ে
অবরোধ ভেঙে এগিয়ে চলেছে আলো~

একটা পিঁপড়ে~ একটা বীজ~ একটুকরো ধুলো~
ক্ষীণ হলেও তুচ্ছ মনে হওয়া মোমবাতি জ্বেলেই রেখেছে জীবন 

যে স্বপ্নের পুকুরে রোজ স্নাতক হই আমরা ~



একটুকরো শুভ্রতা 
ঝকঝকে আলো মেলেছে ডানায়

অথচ আমাদের অন্তরাত্মা আলস্য ঝেড়ে 
উঠে বসতে শেখেনি তখন

টেবিলে রাখা নানান কাজের স্তুপ 

বর্ষার মাঠে ধান বীজ 
পুকুর পাড়ে চারাগাছ 
এসব অনেক ভাবনায় বেড়ে ওঠে ফসল



বাঁধ-ভাঙা জলোচ্ছ্বাসে
হাবুডুবু খাচ্ছো খাওয়াচ্ছো 
জিলিপির সরলতায় 
কুকুরের লেজ পাইপের ভেতর ~


পরি এসে ছোঁয়ালে জিয়নকাঠি 

সব অন্ধকার ডানা ঝাপটায় ~



রূপকথার গল্পে রং রূপ
ঘরকন্না সাজানো-গোছানো 

সেলাইয়ের ফোঁড়ে হাসি-ঠাট্টা মলিন কাপড়

আইনের ব্রেসলেট দখলদারের 


জনতা শৃঙ্খলে সেজেছে দ্বিধাহীন 
অন্ধ রোদের দিকে পিঠ রেখে ~

Write a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

loading...