পতিতোদ্ধারিনী গঙ্গে
পার্থ প্রতিম চট্টোপাধ্যায়

[গঙ্গোত্রী ]

বেশ কিছুদিন আগে মুম্বাইতে সবজি কিনতে গিয়ে হঠাৎ এক প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হলো। পরিচিত সব্জিওয়ালা প্রশ্ন করে বসলো “সাব আপ তো কলকাত্তা সে হ্যায়? কভি গঙ্গাসাগর গ্যায়ে ক্যায়া”? সে আমাকে বোঝানোর চেষ্টা করে চলল যে গঙ্গাসাগরে স্নান করলে অনেক পুণ্য অর্জন হয়, শরীর পবিত্র হয়ে ওঠে। ভাগ্যক্রমে ভারতের প্রধান নদী গঙ্গাকে তার চলার পথের বিভিন্ন স্থানে খুব কাছ থেকে দেখেছি, আমি। সব্জি বিক্রেতার কথা শুনে গঙ্গাকে বিভিন্ন রূপে দেখার স্মৃতি মনে এসে গেলো। মনে পরে গেলো আদিগুরু শঙ্করাচার্য রচিত গঙ্গা স্তোত্রের প্রথম পংক্তিটি,

দেবী! সুরেশ্বরী ভগবতী! গঙ্গে ত্রিভুবন তারিণী তরলতরঙ্গে।

শংকর মৌলিবিহারিণি বিমলে মম মতিরাস্তাং তব পদকমলে॥

[হে সুরেশ্বরী ভগবতী, ত্রিভুবনতারিণী দেবী, তরল তরঙ্গ-যুক্তা, শিব-শির-বাসিনী নির্মল গঙ্গে, তোমার পাদপদ্মে আমার মতি থাকুক ]

গঙ্গোত্রী ও বদ্রীনাথ থেকে গঙ্গাসাগর অবধি, গঙ্গার চলার পথে বিভিন্ন্ জায়গায়, গঙ্গার তীরে বসে আমি অনুভব করার চেষ্টা করেছি মা গঙ্গাকে। বোঝার চেষ্টা করেছি এই গঙ্গা স্তোত্রের মানে। খোঁজার চেষ্টা করেছি এক নদীকে পৌরাণিক কাহিনির সঙ্গে মিলিয়ে দেওয়ার কারণ। শিবপুরাণ মতে গঙ্গা “শিব-শির-বাসিনী” আর বিষ্ণুপুরাণ মতে “বিষ্ণুপাদী”। ভাবতে চেষ্টা করেছি কী প্রয়োজন ছিল প্রাচীন কালে গঙ্গাকে “দেবী” হিসেবে প্রমান করার, গঙ্গা আর তার সহযোগী নদীদের সঙ্গে শিবের জটার তাৎপর্য কি? আর কেনই বা শঙ্করাচার্য, তাঁর গঙ্গা স্তোত্রের তৃতীয় পংক্তিতে বললেন —

হরিপদপাদ্য তরঙ্গিণী গঙ্গে  হিমবিধুমুক্তা ধবলতরঙ্গে ।……

[হরির পাদপদ্ম থেকে তরঙ্গ-আকারে নির্গতা, তুষার-চন্দ্র-মুক্তোর মতো শুভ্র তরঙ্গযুক্তা গঙ্গা………..]

গঙ্গার মূল উৎপত্তি স্থল হলো উত্তরাখণ্ডের দেবপ্রয়াগ থেকে, যেখানে ভাগীরথী এবং অলকানন্দা এক সঙ্গে মিশে গঙ্গার সৃষ্টি করেছে। ভাগীরথীর শুরু গোমুখের গঙ্গোত্রী হিমবাহ থেকে আর অলকানন্দা শুরু হয়েছে বদ্রীনাথ থেকে প্রায় ত্রিশ কিমি দূরে সতোপন্থ এবং ভাগীরথ খড়ক হিমবাহের সঙ্গমস্থল থেকে। গঙ্গার এই দুই মূল প্রবাহের উৎসস্থলগুলি ম্যাপে দেখে আমার সবসময় মনে হয়েছে এই পর্বতমালা এবং তার আনুষাঙ্গিক হিমপ্রবাহগুলিই হলো শিবের জটা। আর তাই হয়তো গঙ্গা শিব-শির-বাসিনী। আমরা সবাই জানি বদ্রীনাথে ভগবান বিষ্ণুর পূজা হয় আর গঙ্গার দুই মূল প্রবাহের দীর্ঘতম অলকানন্দা বদ্রীনাথ মন্দিরের ঠিক নিচ দিয়েই প্রবাহিত হয়েছে। এর কারণেই কি গঙ্গা বিষ্ণুপাদী?

সে যুগের দার্শনিকরা এক অসাধারণ দক্ষতায় পুরাণ ও ভূগোলের মিশ্রণ ঘটিয়ে ছিলেন। তাঁরা ভারত ভূখণ্ডের অন্যতম প্রধান নদী, যুগ যুগ ধরে ভারতের এক বিশাল অঞ্চলের এই জীবনদাত্রী নদী, গঙ্গাকে যথাযত মর্যাদা দিতে, তাঁকে দেবীর আসনে অধিষ্ঠিত করেছিলেন।

ভাগীরথী এবং অলকানন্দার উৎসস্থল থেকে দেবপ্রয়াগ অবধি পথে এই দুই নদীর সাথে আরো অনেক ছোট-বড় নদী এসে মিলেছে বিভিন্ন স্থানে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ভাগীরথীতে মিশে যাওয়া, কেদার গঙ্গা (গঙ্গোত্রীতে), জাহ্নবি (ভৈরোঁঘাঁটিতে), কাকরা গড ও জানধারী গড (হার্শীলে), সিয়ান গড (ঝালাতে), অসি গঙ্গা (উত্তরকাশীতে), আর ভিলান গঙ্গা (পুরানো তেহেরিতে)।

আর অলকানন্দা থেকে গঙ্গা হয়ে ওঠার রাস্তায় পঞ্চপ্রয়াগ নামে পরিচিত পাঁচটি নদীর সঙ্গমস্থল বিশেষ ভাবে উল্লেখনীয়। এগুলি হল বিষ্ণুপ্রয়াগ (যেখানে ধৌলীগঙ্গা অলকানন্দার সঙ্গে মিশেছে), নন্দপ্রয়াগ (এখানে নন্দাকিনী নদী মিশেছে), কর্ণপ্রয়াগ (পিণ্ডার নদী মিশেছে এখানে), রুদ্রপ্রয়াগ ( কেদারনাথের নিকটবর্তী চোরাবাড়ি হিমবাহ থেকে উৎপন্ন হওয়া মন্দাকিনী মিশেছে এখানে) আর সবশেষে দেবপ্রয়াগ, যেখানে ভাগীরথী ও অলকানন্দার মিলনের ফলে মূল গঙ্গা নদীর জন্ম হয়েছে।

[গঙ্গার উৎস অঞ্চলের ম্যাপ]

[দেবপ্রয়াগ]

[হর কে পৌরি – হরিদ্বার]

গঙ্গার উৎসের ভৌগোলিক ব্যাখ্যা নিয়ে ধারণা কিছুটা স্পষ্ট হলেও, গঙ্গাকে কেন ভারত ভূখণ্ডের সর্বশ্রেষ্ঠ নদী হিসেবে গণ্য করা হয়, এ সম্বন্ধে একটা প্রশ্ন থেকেই যেত সবসময় আমার মনে। সেই যুগে তো ভারত ভূখণ্ডের সব থেকে বড় নদী ছিল সিন্ধু, তা হলে কেন গঙ্গাকে, সিন্ধুর থেকেও বেশী গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল? কেনই বা, হিন্দু দর্শনের সব শাখাতেই গঙ্গাকে পতিতপাবন বলে বর্ণনা করা হয়েছে?

ছোটবেলায় বাবার কাছে এক গল্প শুনেছিলাম। বাবার দাদামশাইয়ের কাছে, পায়ের চর্মরোগ নিয়ে এক রোগী এলে, তিনি তাকে পরামর্শ দেন কয়েকদিন গঙ্গার পাড়ে, নদীর মাটিতে খালি পায়ে হাঁটতে। আর আশ্চর্য্যজনক ভাবে কিছু দিন পর, তার সেই চর্মরোগ নাকি কোনো ওষুধ ছাড়াই সেরে যায়। এই ঘটনাটি আমার কাছে এক ম্যাজিক বলে মনে হয়েছিল। গঙ্গামাটিতে কী এমন শক্তি আছে, যা রোগ সারাতে সাহায্য করে। বারবার বোঝার চেষ্টা করেছি শঙ্করাচার্য্ কেন তার গঙ্গা স্তোত্রের নবম পংক্তিতে বললেন —

রোগং শোকং তাপং পাপং হর মে ভগবতি কুমতিকলাপম্ 
ত্রিভুবনসারে বসুধাহারে ত্বমসি গতির্মম খলু সংসারে 

[হে ভগবতী, তুমি আমার রোগ-শোক-পাপ-তাপ ও দুর্মতি দূর করো। ত্রিভুবনের শ্রেষ্ঠ, এই পৃথিবীর হারস্বরূপাতুমি এই সংসারে আমার একমাত্র গতি ]

১৮৯৬ সনে, ব্রিটিশ চিকিৎসক, E Hanbury Hankin গঙ্গাজলে কলেরার ব্যাকটেরিয়া ছেড়ে দিয়ে লক্ষ করেন প্রায় তিন ঘন্টার মধ্যেই এই ব্যাকটেরিয়াগুলি তাদের জীবনশক্তি হারাচ্ছে, যা সাধারণ জলে সম্ভব নয়।

প্রায় আট-নয় বছর আগে, বিখ্যাত ফটোগ্রাফার, Pete McBride এর নেতৃত্বে, National Geography-র, এক অভিযাত্রী দল গঙ্গোত্রী থেকে গঙ্গাসাগর অবধি বিভিন্ন স্থান থেকে গঙ্গা ও তার সহযোগী নদীর জলের নমুনা নিয়ে পরীক্ষা করে দেখেন যে গঙ্গায় অক্সিজেনের মাত্রা পৃথিবীর অন্যান্য অনেক নদীর থেকে বেশী। আগ্রা ও কানপুর অঞ্চলে দূষণের কারণে অক্সিজেনের মাত্রা স্বাভাবিকের থেকে কমে এলেও, তা আবার এলাহাবাদ বা পাটনা অঞ্চলে বেড়ে উঠেছে। (১)

[গঙ্গা ও তার সহযোগী নদীগুলিতে বিভিন্ন স্থানে অক্সিজেনের মাত্রা] (১)

২৪শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬-এ   “The New Indian Express” -এ প্রকাশিত একটি খবরে জানতে পারা যায় চন্ডীগড় স্থিত  “Institute of Microbial Technology” -র কিছু Microbiologist, বিভিন্ন স্থান থেকে গঙ্গা নদীর জল নিয়ে তার বিশ্লেষণ করেন। এই বিশ্লেষণের ফলাফল রীতিমতো চমকপ্রদ। তাঁদের প্রকাশিত রিপোর্টে জানা গেছে, গঙ্গাজলে নাকি বেশ কিছু বিশেষ ধরণের ভাইরাস (Bacteriophage) আছে যা, যক্ষ্মা, নিউমোনিয়া, কলেরা ইত্যাদি রোগ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করতে সাহায্য করে।(৩)

৩রা ডিসেম্বর, ২০২২ তে “Times of India”- র দিল্লি সংস্করণে  প্রকাশিত আর এক খবরে জানতে পারা যায় যে দিল্লি – AIIMS -র বিজ্ঞানীরা গঙ্গাজলের এই Bacteriophage, ভাইরাস থেকে সংক্রমণ প্রতিষেধক ওষুধ তৈরি করার কথা ভাবছেন।(৪)

আমরা নিশ্চয় এতক্ষণে বুঝতে পারছি, যে শুধুমাত্র “শিব-শির-বাসিনী” বা “বিষ্ণুপাদী” বলেই গঙ্গা যে অত্যন্ত পবিত্র তা কিন্তু নয়। তার পবিত্রতার এক বিজ্ঞান ভিত্তিক বাখ্যাও আছে। আমাদের বাড়িতে পূজার জন্য রাখা গঙ্গাজল, দিনের পর দিন ঠিক থাকার রহস্যও হয়তো এই Bacteriophage।

এই হলো আমার পতিতপাবন, মা গঙ্গা। যা রূপে, গুনে, পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ নদী। ভারতবর্ষের প্রায় অর্ধেক মানুষের জীবনধারণ নির্ভর করে আছে যার উপর। কিন্তু আজ আমাদের প্রিয়তমা নদী সাংঘাতিক সংকটের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আছে।  এর কারণ মূলত তিনটি —

প্রথমটি হলো, “Global Warming, যা আজ সারা পৃথিবীর এক চিন্তার বিষয়। এর ফলে হিমালয়ের হিমবাহ গলে যাওয়ার হার বৃদ্ধি হয়েছে গত কয়েক দশকে। বেশ কিছু বছর আগে এই “Melting Rate” ছিল বছরে 0.২৫ মিটার আর আজ প্রায় দ্বিগুন গতিতে হিমবাহগুলির ক্ষয় হচ্ছে। আর এই ঘটনা হয়তো ভবিষ্যতে আমাদের এক ভয়ংঙ্কর বাস্তবের সম্মুখীন করবে।

দ্বিতীয় কারণটি গঙ্গাতে বিভিন্ন জায়গায় বাঁধ তৈরী করে তার স্বাভাবিক গতিকে রোধ করার চেষ্টা। আমরা জানি যে উন্নয়নের জন্য নদীবাঁধ খুবই প্রয়োজনীয়, কিন্তু তার ব্যবহার ও নিয়ন্ত্রণ সঠিক ভাবে হওয়াও অত্যন্ত জরুরী।  

আর তৃতীয় কারণটি হলো উন্নয়নের নামে আমাদের এই পবিত্র নদীকে দূষিত করার চেষ্টা। National Geographic দলটির বিশ্লেষণ অনুযায়ী দেখা যায় সমতলে প্রবেশের পর গঙ্গার জলে দূষণের মাত্রা অস্বাভাবিক ভাবে বেড়ে গিয়েছে। বিশেষত কানপুর এবং তার পরবর্তী অঞ্চলের দূষণের মাত্রা এতো বেশী যা আজ বিশেষ চিন্তার কারণ। (১) গঙ্গায় অতিরিক্ত পরিমানে অপরিশোধিত মানব ও শিল্প বর্জ্যের নিক্ষেপের কারণে সমতলে গঙ্গা আজ তার পতিতপাবন আখ্যা প্রায় হারাতে বসেছে।

[গঙ্গা ও তার সহযোগী নদীগুলিতে বিভিন্ন স্থানে দূষণের মাত্রা] (১)

কেন্দ্রীয় সরকার এবং বিভিন্ন রাজ্য সরকার বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে চেষ্টা করে চলেছেন মা গঙ্গাকে দূষণমুক্ত করার। কিন্তু কোনো সরকার-ই একা কিছুই করতে পারবেন না, যদি না সাধারণ মানুষ একযোগে এগিয়ে আসে এই সম্পদকে রক্ষা করার জন্য। আমাদের সবাইকে একসঙ্গে চেষ্টা করতে হবে গঙ্গা এবং বাকি সব নদীগুলিকে দূষণ মুক্ত করার।

সে যুগের মুনি ঋষিরা আমাদের শিখিয়েছিলেন সৃষ্টির ও স্রষ্টার পূজা করতে। কিন্তু বর্তমানে সে মতাদর্শ থেকে অনেক দূরে সরে এসে আমরা ক্রমাগতভাবে নদী, নারী ও প্রকৃতির উপর অত্যাচার করে চলেছি। সময় এসেছে মানসিকতা পরিবর্তনের। আর তাড়াতাড়ি সেটা না করতে পারলে হয়তো খুব শীঘ্রই এমন এক দুর্দিন আসবে যখন আমরা আর বলতে পারবো না —

“হাম উস দেশ কি বাসী হ্যায়

যিস দেশ মে গঙ্গা বহিতি হ্যায়

 আসুন আমরা সবাই মিলে প্রতিজ্ঞা করি ভারতের এই অমূল্য সম্পদকে রক্ষা করার।

[বারানসীর আসি ঘাটে প্রভাত আরতি

তথ্যসূত্র —

১)  Chasing Rivers, Part 2: The Ganges | Nat Geo Live – YouTube

২) Can India Save The ‘Dying’ Ganga River? | Insight | Full Episode – YouTube

৩) It’s scientifically validated now; Ganga water is ‘holy’!- The New Indian Express

৪) The Ganga Bacteriophages could help against infection | Delhi News – Times of India (indiatimes.com)

লেখায় ব্যবহৃত ছবিগুলি লেখকের তোলা।  

10 Comments

  • Amit Chowdhury

    Reply January 24, 2023 |

    Wow…. great

  • Sumit Das

    Reply January 25, 2023 |

    Darun ekta onubhuti holo…
    Agami dine aro onek kichu lekha paoer ashai thaklam 🙏

    • Jafar

      Reply January 31, 2023 |

      Well written. Keep it up.

  • Seemanti Baberjee

    Reply January 25, 2023 |

    Very well written Partho…..it is true that the water of the Ganges is very special because even if stored for years , it does not go bad
    Very well compiled with facts and myths

  • Sujoy Sen

    Reply January 26, 2023 |

    দুর্দান্ত লাগলো, পার্থ। খুবই ইনফরমেটিভ।

  • Indrani

    Reply January 31, 2023 |

    A grate piece of Article.So nicely you explained

  • পরীক্ষিৎ মালী,

    Reply February 1, 2023 |

    পার্থ তুমি অনেক আগে থেকেই বলতে, কিন্তু তোমার লেখা পড়িনি কোন দিন, সত্যিই তোমার লেখা পড়ে অনেক কিছুই জানতে পারলাম, তোমার পরের সংখার আশায় থাকবো।🙏

  • Mahuya Sasker

    Reply February 2, 2023 |

    অনবদ্য রচনা, পতিত পাবন গঙ্গা কে কলুষ মুক্ত করার এই বার্তা সবার কাছে পৌছে দেওয়ার যে প্রচেষ্টা এই রচনার মাধ্যমে সম্ভব হয়েছে তার জন্য লেখক কে অজস্র ধন্যবাদ ।

  • PALLAB CHATTERJEE

    Reply February 3, 2023 |

    আজই লেখাটা পড়ার সময় পেলাম। সুলিখিত, সুন্দর ছবিগুলি। গঙ্গার জন্মের পৌরাণিক তথ্য যেটুকু জানি, তার বর্ণনা শংকরাচার্যের গঙ্গাস্তোত্রেই আছে। বাংলায় দ্বিজেন্দ্রলাল রায় আরেকটু বিশদে লিখেছেন-
    “নারদ কীর্তন পুলকিত মাধব বিগলিত করুণা করিয়া,
    ব্রহ্ম কমণ্ডলু উচ্ছলি ধূর্জটি জটিল জটাপর ঝরিয়া,
    অম্বর হইতে সোমশত ধারা জ্যোতিঃ প্রপাত তিমিরে,
    নাহি ধরায় হিমাচল মূলে মিশিলে সাগর সঙ্গে।।”

    কোথায় যেন পড়েছিলাম বিষ্ণুর পায়ের তলায় থাকে আকাশ, আর সেই আকাশে বলীরাজার নখের আঘাতে ছিদ্র হয়ে আকাশগঙ্গা থেকে গঙ্গার মর্তে অবতরণ হয়। প্রায় এরকম গল্প উইকিপিডিয়াতেও আছে। লেখাটা উপভোগ করলাম।

  • Avishek Ghosh

    Reply March 18, 2023 |

    এত সুন্দর ব্যাখ্যা, এত সুন্দর লেখনী, যে কোনোদিন যায়নি,সেও চোখের সামনে স্পষ্টভাবে দেখতে পাবে। আর এত তথ্য সমৃদ্ধ লেখা পড়ে সত্যিই উদ্বুদ্ধ হলাম, সমৃদ্ধ হলাম।
    ভালো থাকবেন , লেখাটা আর এই expedition গুলো চালিয়ে যান। যদি কোনোদিন সম্ভব হয় ভেসে পড়বো আপনার সাথে। ইচ্ছে রইলো।

Write a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

loading...