দুটি কবিতা
সমর সুর
দুর্গেশ নন্দিনী
বহুদিন ধরে লটকে আছে গাছে
এখন সে ক্লান্ত।
হাওয়া এলে আর শুনতে পাই না ফড়ফড়ানির শব্দ
ছিঁড়ে দফারফা
তবুও কেউ কাউকে ছাড়ে না,ঠিক যেন দাম্পত্য জীবন
আমাদের সংসারে গুটুরগু শেষ হলে
আলো নিভিয়ে গাছের দিকে তাকিয়ে থাকি চাঁদের আলোয়।
খুব নিচ দিয়ে হেলিকপ্টারে চলে গেলেন দুর্গেশ নন্দিনী
সেকি হাওয়া,ফড়ফড়ানির শব্দ নেই,বুকে হাত রেখে দেখি
বুককাটি বেজে উঠল কয়েক মুহূর্তের জন্য
সম্পর্ক সুতোর মতো গোলাম হোসেন একবার জড়িয়ে নিলে
এ বন্ধন টুটে গা নেহী।
অবরোধ
এইমাত্র খবর পেলাম
প্রেমিক চুম্বন প্রত্যাখ্যান করেছে বলে
শিয়ালদা মেইন সেকশানে অবরোধে বসেছে মেয়েরা।
বুকের ভিতর ধড়াক করে উঠল, আরে! আমার মেয়েটাও যে বড় হচ্ছে
এখন সে আর কমপ্ল্যান খায় না
আজকাল সে একেবারেই পছন্দ করে না গার্জিয়ানের সঙ্গে কোথাও যাওয়া।
কি দিনকাল পড়লো মাইরি
কোনকিছুই আর গোপন থাকছে না।
নিরুপায় রেল কতৃপক্ষ বারবার মাইক ফুঁকে বলছে
রেল বহির্ভূত কারণে অবরোধ হবার জন্য আপাতত ট্রেন চলাচল কখন শুরু হবে বলা যাচ্ছে না।
কী করে ফিরব আমি!
এ শহরে আমার তেমন কোনো বন্ধু নেই
বলা ভাল আমি কারোর বন্ধু হয়ে উঠতে পারিনি।
ইদানিং দেখি রেল পুলিশও ক্রমশ প্রেমিক হয়ে উঠেছে বলে
আজকাল গোলাপ ফোটে হাসপাতালের চত্বরে।