দুটি কবিতা
কৌশিক সেন
প্রথা
গুটিকয় পূর্ণিমাচাঁদ, থাক থাক, ওরা নারী
বিভবে বেড়েছে শোক
বারমুখো, ভাতারছাড়ি!
তা’বলে রেখনা খেদ, ভেদাভেদ থাকে যদি মনে
বিভূতিজড়ানো বোধ
জেগে ওঠে, কোন কুক্ষণে!
অবলা নদীর নাম, খুঁটে খাওয়া চন্দ্রিমাদাগ
বহুগামি মোহদ্বার
ঠিক জানে স্খলিতপরাগ।
ঘাটে ঘাটে ফেরিঘোর, চেরিফলে কেটেছে প্রহর
দেহপট আবাদের জমি,
বিনিময়ে একটি মোহর!
,ফর্ক
দিনলিপি যদি হয় বিষম নদীর মত মেঘ
সুদূরপ্রসারী সাধ, বাঁধের কপাটে পটভূমি
আঁধারের বেলোয়ারী গান, বাঁধানো শানের পরগণা
নদীর দুপাড়ে পরিতাপ, শোকে শোকে ব্যাথিত কুমীর।
কতিপয় তুঁতের পরব, কারুবাকি কিটের কামড়
চামরে বিধাতা যদি নাচে, বাঁচে যদি সুখের তুহিন
নাশকের দায় শুধু দুপুরের আহত দোয়াত
প্রলয়ে নুয়েছে পরিসীমা, সীমানা কি প্রহরীবিহীন!
সেতো নয় নীলছবি সব, প্রণয়ের বিনীত গেলাস
শান দেওয়া ছুরি আর নিদাঘের কাটলারি সেট
,দিনের গভীরে বাতলামি, নোলকের ব্যস্ত দলিল
কাঁটাচামচের বড় সাধ, চিরে দেখে আদি তলপেট।
দিনলিপি শুনেছ কি তবু, কবুতর জানে কৌশল
রাতের গভীরে বাঁকা চাঁদ, গাছে ঝোলে রাঙা বিষফল।।