দুটি কবিতা
শুভ আঢ্য

পক্ষী

কেন জানি না, সন্দেহ জাগে… রূপচাঁদ পক্ষী, না মাছ? আসলে একটিও উড্ডীন মাছ আমি দেখিনি,
ভিডিও ছাড়া। সুতরাং, কাঁটার কথা বলতে মনে হয় একটি যন্ত্রণার গতরে একজন ডাক্তার কাঁচি ও ছুরি
নিয়ে সুখ ঢোকানোর চেষ্টা করছেন আপ্রাণ।

সন্দেহ গুটিশুটি মেরে ঘুমোয়। কোনো কোনো দিন দই ও বাবড়ি খেয়েও। তার ঢুকে যাওয়া বুকের ভেতর
ভরপুর গাঁজার ধোঁয়া। একা থাকে, আড়চোখ খুব প্রিয়। আমি দেখেছিলাম একটি অচেনা মেয়ের মুখে
চুলগুলো ভেঙে পড়লে, জাহাজটি ডানা মেলল। অদূরে যাত্রীদের জন্য মুখোশ পরার আবেদন।

ঘোষণাগুলি শেষ হয়ে গেলে… দেখতে পাই, একটি ভিডিওতে জাহাজের পাশ বরাবর পরিণীতি চোপড়ার
মতো দেখতে একটি মেয়ে সুইমস্যুটে উড়ে গেল।

ক্রিসমাস

এসবের মাঝে ফাদারের হাত থেকে ঝরে পড়া মাটি নেই। বিজ্ঞাপনে দেখানো মাটি নিড়োনো।
বিজ্ঞাপনের ফাদারের জোব্বা ধবধবে। প্রতিটি মৃত্যুর আগে যে ঘণ্টা বেজে ওঠে তা বিজ্ঞাপনে নেই।
বিজ্ঞাপন, ভবিষ্যত সম্পর্কে সন্দিহান। ফাদারের হাতের মাটি থেকে একটা কেন্নো পড়ে যাচ্ছে,
অনেকগুলো মাইক্রোঅগ্যানিজমও। আমাদের ভেতর একটা বড় মাঠ। তার এক কোণে লাল স্কার্ফ
গলায় লাগানো একটি মেয়ে, যার নাম ফিওনা। ফিওনা, ফাদারকে চেনে না। জানে না, ফাদারের হাত থেকে
ফিউনেরালে মাটি ঝরে পড়ে। সে কেবল ক্রিসমাস দেখেছে।

ক্রিসমাস একটি অব্যয়। মৃতুর আগে প্রতিটি ক্রিসমাস মুখর হয়ে ওঠে। তার ক্যারলের ভেতর ফিওনা
বসে দেখে আপেলের মতো মৃত্যুকে টুক করে পেড়ে আনছে ফাদার, যার হাত থেকে ঝরে পড়া মাটি,
জোব্বা ধবধবে।

Write a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

loading...