দুটি কবিতা
বর্ণময় বাড়ৈ
দায়
সেসব রাতে পারাবত জ্যোৎস্না এসে সারিয়ে তোলে গাছের অসুখ, পাতার ক্ষত;
তাকে সাদা পোশাকের সেবিকা মনে হয় বারবার। বদলে যায় পক্ষ।
অনামিল অন্ধকারের ভেতর হারিয়ে যায় সখ্যতা। একটা দু’টো নক্ষত্র মিলিয়ে এঁকে রাখি তার মুখ –
হেঁটে যাওয়া জলের শব্দ লিখে রাখি খাতায়,
ভিজে যায় কাগজ।
কমে আসে লেখার আয়ূ…
পুনর্বাসনযোগ্য যেসব অসুখ ভুলে যায় প্রজন্মের মায়া
ধুলোর ওপর এসে জমে যায় বিষাদ, তার ওপর নতুন ধুলো
যাকে ছুঁয়ে থাকে গার্হস্থ্যের নমনীয়তা।
এখন তুমি চাইছো বলেই খসে পড়ছে তারা,
তোমার ইচ্ছেপূরণের নিমিত্তে
এ আত্মঘাতী নক্ষত্রমন্ডলের দায় আমার। শুধুই আমার…
পরিপূরক
তোমার অভিযোগের পাশেই আমার জবাবদিহি
কাকতাড়ুয়ার ভাঙ্গা হাড়ির নিচে ঝুলে থাকা বাতিল জামার মতো মলিন
সাজিয়ে দিচ্ছে হাস্যকর ভীতির পাশে দৈনন্দিন ক্ষুধা
যার থেকে নিরাপদ দূরত্বে দাঁড়িয়ে দু’টো অন্তর্দায় কাক
ঠুকরে নিচ্ছে বিপন্ন ফসল
তবু আমার রেখে যাওয়া একমুঠো রোদের পাশে তুমি রেখে দিয়ো অন্তত অর্ধেক মুঠো ছায়া
আমার জবাবদিহির পাশে রেখে দিও নত আঁখিপল্লব