দুটি কবিতা

চঞ্চল নায়েক

একটি তারিখ

আমরণ একটি মৃত্যুকে কোলেপিঠে 
করে সহবাস করছি  
তবুও বেঁচে থাকার স্বপ্নে বিভোর—
দ্যাখো, এই যে এগিয়ে যাচ্ছি ক্রমশ 
আসলে তারিখ থেকে সরে যাচ্ছে তারিখ…

যেটুকু ছিঁটেফোঁটা ভালো থাকা
তার থেকে নজর সরছে না একদম,
যারা ওই রাজপথে এখনো অধিকার চায়
তারাও স্বপ্নের ঘোরে স্বপ্ন বুনতে চায়…

দুরূহ সন্ত্রাস বিভাজিত হয় ঠান্ডা ঘরে
তারপর আমারই মতো ওরাও বেঁচে থাকে
সাক্ষাৎ মৃত্যুকে কোলেপিঠে করে…

কুমারী উপত্যকার মৃত আগ্নেয়গিরি 
হয়ে কবিতার শব্দরা চিরকাল শীতল থাকে না কিন্তু… 
একটা একটা করে কবিতা জোট বাঁধে।

তারপর মহাকাব্য হয়ে চিনিয়ে দেয় সবকিছুই,  
এতকাল ধরে কোলেপিঠে করে 
বারুদের পান্ডুলিপি পোষা হচ্ছিল…

অতঃপর —নিজের মৃত্যুর পাশাপাশি মৃত শাসকের লাশের 
শীতল মিথ্যের সব হিসেব মিলে যায় 
একটি তারিখ এবং অধিকারের অংকে…

ছায়ার ছোঁয়া… 

গাছেদের মুখ খুঁজি 
খুঁজতে চেষ্টা করি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ
এত ধৈর্য আর ধী কী করে জারিত হয়?

আমি কোনও তুলিকার নই
তবু্ও আঁকি, আঁকার চেষ্টা করি…

গাছ ছুঁয়ে থাকি… 
হাত প্রসারিত করে গাছ হতে চাই

খুব ইচ্ছে করে আমি-গাছ 
কিংবা গাছ-আমি হতে

ওরা কখনও কাউকে বিমুখ করে?
প্রশ্নের মুখে প্রশ্ন বসালে কি উত্তর আসে?
বাবাকে দাহ করে বাবা বসেছিল একটি 
প্রাচীন বটের ঘন ছায়ায়…

এখন বাবার মুখে ছায়া ছায়া কথা শুনি,
বৃদ্ধ গাছেদের ভেতর বাবার মুখ আঁকি…
ছবি আঁকি কল্পনার তুলিতে—

ক্রমশ বুকের ভেতর গাছ বাড়তে থাকে
বাড়তেই থাকে অগণিত ডালপালা… 

1 Comment

  • Dhiman Choudhury

    Reply March 9, 2023 |

    এক কথায় সুন্দর।

Write a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

loading...