দুটি কবিতা
কৌশিক চক্রবর্ত্তী
১
ঋণশোধ
ফেলে দেয়া পেরেকের ওপরে পা রাখি রোজ। আমি অন্ধত্বে অভিযুক্ত। সূর্যমুখী ফুলের ওপর রোদ্দুর এসে পড়ে। পাপড়িতে জমে যায় নাগরিক সুখ। সমঝোতায় নিজেকে পরাজিত বললে আদর বরাদ্দ হয় কি?
অমাবস্যার মত শিষ্টাচার বিরল। অথচ উইপোকার পছন্দ মাঝরাত। আমার অগ্রাধিকার চন্দ্রগ্রহণে। চাঁদ না উঠলে আততায়ীর সংখ্যা বাড়ে। নিশ্চিন্তে জেগে থাকা যায় সারারাত।
ভিত উঁচু হোক বাগানবাড়ির। পেরেকের আঘাত ভুলতে সারাদিন বন্ধ রাখি সদরদরজা। কে উঁকি মেরেছে জানা নেই। এরপর কেউ উপযাচক হয়ে এলে মোড়া এগিয়ে দেব বারান্দায়।
অপরাধীরা তখন সংখ্যায় বাড়ছে। আর প্রতিটা আঘাতের জন্য বরাদ্দ হচ্ছে পাঁচিল।
একদিন আমি পেরেক খুঁজে পাব না। ঋণশোধের কথা তখন ভেবে দেখব নাহয়।
২
প্রত্নছাপ
আরো একটু পাপড়ি সরিয়ে পৌঁছে গেলাম নি:শুল্ক দ্রাঘিমায়
শুষে নেওয়া দুধপ্রপাত
দাঁতে খুঁটে নেওয়া প্রত্নস্থল-
অপরিচিত সূর্যোদয় থেকে
আরও কিছু অন্ধকার ডুবস্নান
বেয়ে ওঠার মুহূর্ত রাত্রিবাসের…
দিন অথবা রাত
মাহেন্দ্রক্ষণে খুঁড়ে তোলা মাটি-
শীৎকার…
গোপন মুদ্রায় দার্শনিক ছাপ-
গুটিয়ে যাচ্ছ…
আমি তুলে আনছি বিক্রিয়াজাত ঘুম…