তিনটি কবিতা
পলাশ দাস

পূর্ব পশ্চিম আলোছায়া 


রাতের বিষাক্ত জলের কাছে নুয়ে আছে মাথা

মাথা নুয়ে আছে

হাত পা ছড়ানো ছেটানো

পেরেকের মতো ঘাস জ্যোৎস্নার লালায়

শর খেত হয়ে আছে চেনা মাঠ


আঠা আঠা চ্যাটচ্যেটে

গাছের পাতায় ধাবমান রাত্রির কুয়াশা 

শুয়ে আছে স্থির বাতাসের স্বর

গাছের সূক্ষ্ম শিরা-উপশিরা জুড়ে বয়ে চলেছে

পূর্ব পশ্চিম আলোছায়া 


সেমিকোলন


জলের সমতল জুড়ে উড়িয়ে দিয়েছি সাদা প্রজাপতি

দু’পাশে বাহু খোলা জল 

জাল টানছে শ্রমিক মৌমাছি দল

সেমিকোলনের মতো ঘাস

মাথায় টিপটিপে তারা

চাঁদ পড়ে আছে নিঃসঙ্গ একাকী জলের নরমে


সেমিকোলনের উপর

প্রজাপতি উড়ছে

জালে শেষ টান দিচ্ছে মৌমাছি দল

একটু পরেই একাকী চাঁদের পিঠে উঠে পড়বে ওরা

বা ওদের পিঠে চাঁদ

সেমিকোলনে শিহরণ দেগে

ঘুম নিঃসঙ্গতা ফেলে উঠে পড়বে রাতের প্রলাপ 


মুখ  


নদীর পাশে দাঁড়ালে আদিম অকৃত্রিম শব্দ ভেসে আসে

বৃষ্টির পাশে

গাছের পাশে

বাতাসের পাশে


আমার দিকে যে মুখ

তার ছায়া পড়ছে আমার শরীর ছাপিয়ে

নেমে আসছে নিঃশব্দের অবসর যাপন

Write a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

loading...