তিনটি কবিতা
প্রণব বসুরায়

ঝাড়াই বাছাই
(* বলেছিলে–‘আসছি’)

জলের পাহাড়ে নামি, অতঃপর…
সাঁতারের চেয়ে তলিয়ে যাবার চোরা টান
ধরে ফেলেছে জামার হাতল–
চামড়া উল্টে দেখছি আমার রক্তের রঙ নীল
অক্সিজেন ছাড়াই শোধিত হয়ে চলে যাচ্ছে
দূরবর্তী আরেক কামরায়…

আমার এই বাড়ির দু কামরার মাঝে
অনেকটা সরকারী জমি–পাবলিক প্রপার্টি
তাই এক কামরার কথা অন্যটায় পৌঁছতে
অনেক অবাঞ্ছিত ধুলো ও বিষ লেগে যায়

ঝাড়াই বাছাইয়ের ব্যবস্থা তাই বিশ্রাম পায় না…

একই ফল

সাপ উঠেছে শরীর ঘিরে, গলার তলায় বিষ
আমরা কেবল আফিম নেশায় কাটাই অহর্নিশ।

ছেঁদো কথাই শ্লোগান হয়ে ঘুরছে হাতে হাতে
হাঁটছি দ্যাখো বুক চিতিয়ে, লোকেরা ফুটপাতে।

এবং দেখো ভীড়ের ভেতর একলা হয়ে যাই
আমার মাথায় ধামসা মাদল, গঙ্গা যমুনাই।

বটের বৃক্ষ ফাঁক করে আজ অল্প ওঠে চাঁদ
কুহক যেন এমনি করেই সাজিয়ে রাখে ফাঁদ।

বিষ নিই বা ফাঁদেই জড়াই, ফল তো সেই এক
উঁচু বাড়ির ছাদের থেকে ” এই, এদিকে দ্যাখ…”

তারা-কথা (২০)

চোখ খুলে দেখি দুটি পদ্ম বিপুল সম্ভাবনায়
ভাসছে জলেতে–জেগে আছে, তাও বলা যায়
মৃদু ঢেউ পার ছলকায়, সেও দেখি যথেষ্ঠ বিনত–
একে আমি শিল্প বলেছি।

সাম্যে যদি গ্রহ লেগে যায়, আমাদের অনাচারে
মরে যাবে ফুল। দুটি সাপ, মাথা তুলে
শুধুমাত্র দংশন ছড়াবে– শুদ্ধ সরোবরে

Write a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

loading...