চাকা চাকা পীড়নের দাগ
অমিত চক্রবর্তী

স্ট্রেস–বলটাকে নিয়ে একবার জোরে পিষেছিল সুহাস

তারপর দেয়ালে ছুঁড়ে মারে তার প্রক্ষেপদাগ। এইভাবে

রয়ে যায় আঁচড়, উন্মাদনার আদি ইতিহাস

ভেসে বেড়ায় নজিরপুঁথির সঙ্কলনে। যা কিনা

একদিন কেউ ব্যবহার করবে তার বিরুদ্ধে।

এ এমন কিছু নতুন চিন্তা নয়, সুহাস নিজেই

এ নিয়ে তিনটে গল্প লিখেছে, ডায়েরি লেখার মত

তোবড়ানো দাগ তাতে, সূক্ষ্ম কারুকাজ বা

ফিলিগ্রির সম্পদ, চুরি করে পড়লেও কেউ জানবে না

কোন দিকে এগিয়েছে সময়, কারা হারিয়ে গিয়েছে কখন,

এবং কারা রয়ে গেলো মাঝপথে। আনন্দের ভেতরেও থাকে

কিছু বাসি আর্তনাদ, শোনো কি আমার কথা কখনও,

সে বলেছিল, দেখি মুখটা তোলো, জিভটা বের করো আবার,

না, তুমি নিষ্কলঙ্ক নও মোটেই, কাঁসার থালার মত

তোমাতেও দেখছি চাকা চাকা পীড়নের দাগ। 

Write a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

loading...