কবিতা ও কথা-৩
বুদ্ধদেব হালদারের কবিতা নিয়ে লিখেছেন উত্তম দত্ত, পল্লব গঙ্গোপাধ্যায় এবং রাজেশ গঙ্গোপাধ্যায়

কবিতা

এসব দুপুরের কথা লিখে রাখা দরকার। হয়তো এসব নিয়েই
সিনেমা হবে একদিন। আজ একটা বিচ্ছিরিরকম মাছের কাঁটা
আমার গলায় বিঁধে গিয়েছিল। এবং কবিতার অবিনশ্বরতা নিয়ে
কথা বলার জন্য আমার সঙ্গে টেলিফোনে ছিলেন শ্রী হরপ্রসাদ শাস্ত্রী
তিনি জানিয়েছেন, এবারের গোটা শীতকালটাই নাকি অন্ধকারে
কাটবে। এসব শুনে আমি দৌড়ে ছাদে উঠে গিয়েছিলাম। বুজুর
হারমোনিয়ামটা তখন রোদে শুকোচ্ছিল; আর জিভের ডগায়
এল‌এসডি  কিউব রেখে আমি ভাবতে বসে ছিলাম গত জন্মে হারিয়ে
 ফেলা আমার এক পাটি হাওয়াই চটির কথা। যারা আজও কবিতাকে
পদ্য বলতেই পছন্দ করেন, তাদের প্রত্যেককে চিঠি লিখে জানাতে চাই 
এই একত্রিশেও আমি চাকরিহীন। আমি কি আত্মহত্যা করব এবার?
নাকি ছন্দ মিলিয়ে এখনই লিখে রাখবো আসলে কবিতার মতো করে
আমি এক খানকিকে ভালোবেসেছিলাম

কথা

উত্তম দত্ত

এই কবির কবিতা পাঠ করে মনে হল, ইনি বাংলা কবিতার পরশুরাম। হাতে ক্ষমাহীন নির্মম কুঠার। চিরায়ত মূল্যবোধের শ্মশানে তিনি এক জাগ্রত প্রহরী। স্নো-পাউডার মাখানো বাংলা কবিতার নিখুঁত ইস্তিরি করা পোশাকটিকে তিনি সোল্লাসে ফালা ফালা করে দিতে চান। কবিতার একটি লাইনে বলা আছে, কবিতার উত্তমপুরুষের বয়স ৩১। এই উত্তমপুরুষ যে কবি স্বয়ং সেকথা অনায়াসে অনুমান করা যায়। কারণ এই জাতের দুঃসাহসী কবিরা কবিতায় কোনও ছদ্মবেশ ব্যবহার করেন না। মিথ্যাকে আর মুখোশ পরা সভ্যতাকে এঁরা ঘৃণা করেন। 
চিরাচরিত কবিতা পড়তে যাঁরা অভ্যস্ত, তাঁদের কাছে মনে হতে পারে, কবিতাটির প্রতিটি লাইন অসংলগ্ন, পরস্পর বিচ্ছিন্ন। কিন্তু আমি এর চরণগুলির মধ্যে কোনও অসংলগ্নতা দেখতে পাচ্ছি না। বরং পুরো কবিতাটিই এক পবিত্র বিষাদ, ক্ষোভ ও উন্মত্ততার আগ্নেয় বহিঃপ্রকাশ। মার্কিন কবি এ্যালেন গিনসবর্গের হাউল কবিতার শুরুতেই রয়েছে তরুণ প্রজন্মের কবিদের পবিত্র পাগলামির কথা :
‘I saw the best minds of my generation destroyed by        madness, starving hysterical naked,dragging themselves through the negro streets at dawn … “
আধুনিক মানুষের এক অনিবার্য নিয়তি হল এই বিচ্ছিন্নতাবোধ। কাছের মানুষেরা আমাকে বুঝতে পারছে না। আমিও বুক চিরে তাদের দেখাতে পারছি না আমার আত্মার হুতাশন। সকল লোকের মধ্যে বসে আমরা প্রত্যেকে নিঃসঙ্গ। আর কবির মতো সংবেদনশীল হলে তো নৈরাশ্য ও বিষাদ জড়িয়ে থাকে শীতের পোশাকের মতো : ‘the feeling of not being understood by anyone and that the person is alone in the world. ‘
কবিতাটির সর্বাঙ্গে জড়িয়ে আছে একটা ‘আর্বান এ্যাংস্ট’। প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত শোনা যায় একটা ক্রুশবিদ্ধ মানুষের নিরুদ্ধার আর্তনাদ। কী বলা যায় এই অনুভূতিকে : ‘ A feeling of despair, anxiety, and depression. It is usually applied to a deep and essentially philosophical anxiety about the world in general or personal freedom.’
এবার আসি কবিতাটির বিন্যাসগত অসংলগ্নতা বিষয়ে। এই আপাত অসংলগ্ন বিন্যাসশৈলীর মুকুটহীন সম্রাট কবি ভাস্কর চক্রবর্তী। ভাস্কর নিজেও সচেতন ছিলেন এই আপাত ছন্নছাড়া বিন্যাস-কৌশলের অন্তর্বর্তী নিগূঢ় সংযোগ বিষয়ে। এই কবিতার কবিও নির্ঘাত খুব সচেতনভাবে লিখেছেন এর প্রত্যেকটি শব্দ। তিনিও নিশ্চয়ই ভাস্করের মতো বিশ্বাস করেন : ‘কবিতার একটা লাইনের থেকে আরেক লাইনের দূরত্ব হবে কমপক্ষে একশো কিলোমিটার। কিন্তু, অদৃশ্য তলদেশে থাকবে মিলিমিটারের নিবিড় সম্পর্ক।’
পাশ্চাত্য সমালোচকেরা যাকে এ্যান্টিপোয়েট্রি  বলেন, তার একটি নিখুঁত দৃষ্টান্ত এই কবিতাটি। এইসব কবিতার জন্মই হয় কুঠার-লগ্নে। পরশুরামের কুঠার। আমাদের ক্লিশে হয়ে যাওয়া কবিতা-সম্পর্কিত ধারণাগুলিকে ছিন্ন ভিন্ন করে দেবার জন্যই এদের জন্ম।কবিতাটি শুরু হয়েছে খুবই নৈমিত্তিক ভঙ্গিতে। তুচ্ছ হলেও এই ধুলোমাটির জীবনের কথা লিখে রাখতে চান কবি। মৃদু কৌতুকের সুরেই বলেন, কোনও রিয়ালিস্ট বা সুপার-রিয়ালিস্ট চলচ্চিত্রকার একদিন হয়ত এই বেকার ছন্নছাড়া নেশাগ্রস্ত অর্ধোন্মাদ পবিত্র ধুলোমাটির মানুষটিকে নিয়ে নির্মাণ করবে বিনোদনযোগ্য কোনও চলচ্চিত্র। 
এর পরেই রয়েছে গলায় মাছের কাঁটা বেঁধার কথা। এই কাঁটাই রূপকার্থে মানুষের সুস্থ ও মসৃণ জীবনের অন্তরায়। গলায় অনিবার্য কণ্টকবিদ্ধ আমাদের জীবন। এরই মধ্যে এসে পড়ে কবিতার অবিনশ্বরতা নিয়ে হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর সঙ্গে ফোনালাপের প্রসঙ্গ। এও এক ভয়ংকর অলীক কৌতুক। প্রাচ্যবিদ্যাবিশারদ পণ্ডিত, চর্যাপদের পুথির আবিষ্কারক হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর পাণ্ডিত্যের খ্যাতি থাকলেও কবিত্বের কোনও খ্যাতি নেই। অথচ ১৯৩১ সালে প্রয়াত এই পণ্ডিতের সঙ্গেই কথাবার্তা হয় কবিতার অবিনশ্বরতা বিষয়ে। যেন শ্রদ্ধেয় কোনও ফসিলের সঙ্গে আলাপ। (এখন তো কবিতার জগৎ শাসন করছে কয়েকটি ফসিল।) হরপ্রসাদ শাস্ত্রী বস্তুত রূপক চরিত্র।এবং তাঁর সঙ্গে বার্তাবিনিময়ের নির্যাসটুকুও চরম হিউমারাস : ‘ তিনি জানিয়েছেন এবারের গোটা শীতকালটাই নাকি অন্ধকারে কাটবে।’ 
তাহলে কী দাঁড়াল? প্রথমে কণ্টকবিদ্ধ কণ্ঠ। তারপর অন্ধকার শীতার্ত রাত্রি। এর পরেই মুক্তিপিপাসু আত্মা ছুটে যায় ছাদের উপরে। সেখানে হারমোনিয়াম শুকোচ্ছে রোদে। সুর ও সঙ্গীতের প্রত্যাশা আছে। কিন্তু সুর নেই। স্বরযন্ত্রটিও শীতার্ত। এই নিরুপায় শ্বাসরুদ্ধকর জীবন থেকে পালাতে চায় মানুষটি। মুখে তার এল এস ডি কিউব। নিরুপায়ত্ব থেকে আসে এই এসকেপিজম। চরম আত্মক্ষয়ী নেশায় ডুব দিয়ে বাস্তবের কণ্ঠলগ্ন কাঁটা ও পারাপারহীন অন্ধকার থেকে পরিত্রাণ চাইছে এই কবিতার উত্তমপুরুষ। বিট প্রজন্মের কবিরা বলতেন, এল এস ডি নিলে মাতৃগর্ভের স্মৃতিও জীবন্ত হয়ে ওঠে। তাকেও ছাপিয়ে গেল এই মানুষটি। তার মনে পড়ে গত জন্মে হারিয়ে যাওয়া একপাটি হাওয়াই চটির কথা। যেন পাওয়ার কোনও মধুময় স্মৃতি নেই। শুধুই হারানোর স্মৃতি। যেন জন্মজন্মান্তর ধরেই এই বঞ্চনা অব্যাহত। যারা আজও কবিতাকে পদ্য বলতে পছন্দ করেন, সেইসব বাঁধাছন্দ ও অন্ত্যমিলের অনুগত ক্রীতদাসদের প্রতি চকিতে বিদ্যুৎকটাক্ষ ছুড়ে দিয়ে কবিতার উত্তমপুরুষটি জানালেন, এই একত্রিশেও তাঁর চাকরিবাকরি নেই, উপার্জন নেই। তিনি কি তবে আত্মহননের পথই বেছে নেবেন? নাকি ছন্দ মিলিয়ে এখনই লিখে রাখবেন, ‘আসলে কবিতার মতো করে আমি এক খানকিকে ভালোবেসেছিলাম?’
গলার কাঁটা, শীতার্ত অন্ধকার, তীব্র মাদকের নেশা, হাওয়াই চটি হারিয়ে ফেলার জন্মান্তরীণ স্মৃতি, উপার্জনহীনতা এবং ছন্দোবদ্ধ কবিতার মতো করে এক প্রতারক স্বৈরিণীকে ভালোবাসতে চাওয়ার ব্যর্থ প্রয়াস… সব মিলিয়ে একটা অখণ্ড করুণ সিম্ফনি। একেই ভাস্কর চক্রবর্তী বলেছিলেন : ‘অদৃশ্য তলদেশে থাকবে মিলিমিটারের নিবিড় সম্পর্ক।’
একটি চমৎকার কবিতা পাঠের অভিজ্ঞতা হল।


পল্লব গঙ্গোপাধ্যায়

আজকের চেনা সহজ বাকভঙ্গির মধ্যেও যেন একটু স্বতন্ত্র চলন। অনুভব যেন এই মাত্র পংক্তি থেকে উঠে এসে আত্ম জনের মতো হাত ধরল! চিত্রকল্পের গূঢ় বয়ন নেই। ইশারার জটিল বিন্যাস নেই। রূপকের মায়ায় দুর্বোধ্য নির্মোকের দুর্ভেদ্য পর্দা নেই। ইশারা যেটুকু আছে তাতেও গোলকধাঁধা নেই। নিরচ্চার আলোয় তা  স্পর্শময় নরম সংবেদের  অভিমুখ দেখিয়ে দেয় শুধু। শেষ লাইনটায় যন্ত্রণার তীব্র অভিঘাত উঠে এসেছে।


রাজেশ গঙ্গোপাধ্যায় 

একটি সার্থক পোলেমিক কবিতার অনমনীয় দৃষ্টান্তের স্বরূপটি কী? তীব্র ক্রোধ, ঘৃণা, নৈরাশ্যে জর্জরিত বিপর্যস্ত প্রাণের অর্গলহীন  ঘোষণা, যা বিন্দুমাত্র পরোয়া করেনা সামাজিক সুস্থিতি, সৌম্য, সাম্যের সুপ্রিয় তুলতুলে আদলকে, তারই গনগনে তেজে ছারখার হয়ে যেতে চায় যত মুখোশেরা, ইস্ত্রি করা জামার প্লিট, জুতোর চকচকে পালিশ এবং সাজানো বাগান। এই সংঘাতে এমনকি সৌজন্য, সহবতের ভন্ডামি পরতও গুঁড়ো গুঁড়ো হয়ে পড়তে চায়…সেই টুকরোগুলো কুড়িয়ে একত্রিত করে যে অভিজ্ঞান নির্মিত হয়, তার অভিজ্ঞতা এতই ধারালো, এতটাই শাণিত, বিস্ফোরণকামী যে মেলে না, সাদৃশ্যের সেতুবন্ধন করে ওঠা যায় না। এই অপারগতার আরও একটি কারণ হল, এই তীব্র অনুভূতি প্রকাশের মাধ্যম, অবিশ্বাস্য হলেও কবিতা! অকপট অকৃত্রিম জবানবন্দীর ঝাঁঝালো ব্যাপনে ভেতরে চারিয়ে যায় উদ্দাম জীবনবোধের নগ্ন প্রণিপাত। বিদ্রূপের শ্লেষাত্মক ভঙ্গীটির কাছ থেকে দূরে চলে যাওয়াও যায় না, আবার গ্রহণের অনীহাও গোপন থাকে না। তাহলে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে অবতীর্ণ হবে কে! এই ধোঁয়াশার অতিকায় গোলকটি ঠেলতে ঠেলতে নিয়ে এগোয় সভ্যতা, যা আমাদের স্বহস্তে নির্মাণের এক অনুপম দমবন্ধকরা সীমায়িত পরিধি। সিনেমার বিষয়বস্তু হিসেবে যে দুপুরের কথা বলা হয়েছে, তার কোন সারবত্তা থাকুক চাই না থাকুক, বৌদ্ধিক উৎকর্ষের প্রতি স্পষ্ট শ্লেষ অনুল্লেখ্য থাকে না। কবিতার অবিনশ্বরতা নিয়ে কথা বলার জন্য যখন টেলিফোনে থাকেন শ্রী হরপ্রসাদ শাস্ত্রী, বোঝা যায় বিদ্রূপের সূচীমুখে বিদ্ধ হয়ে যাচ্ছে তথাকথিত প্রথাগতর আরোপিত আদল। কিন্তু কেন এই প্রতিবর্তে ধাবিত খোঁয়ারি! এর উত্তর খুঁজে পেতে গিয়ে মিলে যায় একত্রিশ বছর পর্যন্ত চাকুরিহীন থাকার ব্যর্থতা স্বেদবিন্দুর মত জমা হয়ে ওঠে কপালের ওপর, সেখানে কোন প্রাপ্তির সমূহ সম্ভাবনা নেই। আছে এল.এস.ডি. কিউব জিভের তলায় রেখে আবিশ্ব পরাক্রমের দুর্দমনীয় ঘোর, যে ঘোরের অতলে তলিয়ে যেতে যেতে আঁকড়ে ধরতে হয়, একটি অসম্পূর্ণ শরীরী ভালবাসার গল্পে নেমে আসা খাদ…কবিতার শেষ পংক্তিতে ‘খানকি’ শব্দটির প্রয়োগ আমাদের অনভ্যস্ত শ্রবণে কটু মনে হলেও, কেন এর পরিবর্তে নিছক ‘বেশ্যা’ বা ‘গণিকা’ বা ‘পতিতা’ ইত্যাদির মত অপেক্ষাকৃত বহুল ব্যবহৃত শব্দ প্রয়োগ করা হয়নি – এ বিষয়ে বিতর্ক তৈরী হওয়ার সম্ভাব্যকে জিইয়ে রাখার স্বচ্ছ উদ্দেশ্যটি হল এই সমাজের থেকে কোন সুস্থ প্রত্যাশা নেই। এই সমাজব্যবস্থার বহিরঙ্গে খচিত ঝুটো মুক্তোগুলি খসে গেলে যে ক্ষতগুলি হাঁ করে চেয়ে থাকে, সেই অনপনেয়র আশ্লেষে জমে ওঠে ভুলজনিত বিধ্বংসী ভাইরাসকলোনী। আমরা সেই অসুখ নিয়ে ঘুরে বেড়াই, প্রসাধনের কৃত্তিমতায় মুড়ে ফেলতে চাই আরোগ্যহীন অস্বস্তি। এক্ষেত্রে স্মর্তব্য, যে আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থাকে ক্রমাগত আক্রমণে আক্রনণে ভরিয়ে তুলতে চাওয়া হচ্ছে, প্রতিবিধানের মাপকাঠি হিসেবেও সেই একঘেয়েমিকেই নির্বাচন করে নেওয়া হয়েছে। নাহলে মাদকে মশগুল হওয়াই যে স্থায়ী সমাধান নয়, কবিতাকে ‘পদ্য’ বলার লঘুতা (স্থিরিকৃত না হয়েও আলোচ্য!) যে আয়ুধের চাঁদমারি হওয়ার মত অব্যর্থ নয়, জীবনে সাফল্যের বিপরীতেই আত্মহত্যাপ্রবণতা থাকেনা – এই লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত হয়েছে কেন। মুক্তিবেগ যদি অর্জিতই না হয়, তাহলে মাধ্যাকর্ষকে ঠাট্টা করার স্পর্ধাও তো দোষেরই। তাই না? আসলে এ লেখা এমন এক প্রজন্মের প্রতিনিধিত্ব করছে যেখানে গভীরতার সন্ধিৎসা উপহাসের, সম্পর্কের আঠা বলে কিছু নেই, সনাতন ঐতিহ্যের মুখে মূত্রাঘাত করতে পারাই বিশেষজ্ঞপ্রতীম! এভাবে হয় না। ভাঙতে গেলে গড়তে হবে আগে। সেই গড়াতেই গলদ রয়ে গেলে ভাঙাটাও যথাযথ হয়ে উঠবে না। এ কবিতা এখনকার কবিতা। এ কবিতা চাঁছাছোলা কবিতা। এ কবিতায় ভাণ নেই। এ কবিতায় প্রাণই বা কতটা। তা খুঁজে নিতে হবে পাঠককেই। 

4 Comments

  • দেবলীনা

    Reply June 30, 2023 |

    কবিতা ও আলোচনা ভালো লাগলো

  • উত্তম বিশ্বাস

    Reply June 30, 2023 |

    শেষ লাইনটার জন্যে এই কবিতাটি একশোবার পড়া যায়! অর্থাৎ শেষ থেকে উৎসে ফেরার ইচ্ছা প্রবল হয়ে উঠছে!

  • Debashis Ghosh

    Reply June 30, 2023 |

    বুদ্ধদেবের কবিতাটিতে আলতো কিন্তু মোক্ষমভাবে কতগুলো ডিরেকশনাল ক্রিসক্রস ধরা পড়েছে। তিনটি আলোচনা কবিতার বেশ ভালো মূল্যায়ণ করেছে। দেবাশিস ঘোষ

  • তনিমা হাজরা

    Reply July 7, 2023 |

    কবিতার আঘাত এবং বিশ্লেষণের ছুরিকাঁচি দুই-ই অশান্তির মধ্যে মুগ্ধতা দিলো।

Write a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

loading...