কবিতাগুচ্ছ
সুবীর সরকার
অপেরা
মৃত বেড়ালের জন্য শোকগাথা আমি লিখবো না
বাতাসে আঙুল চালিয়ে আমি দেশ লিখবো না
বরং মজনু ভাই আর তার ঘোড়াটির কথাই
লিখে ফেলবো
কালপানি একটি প্রাচীন গ্রাম।
সারাদিন দেখি জলের প্রহার।
ঘুমের ভেতর ঘুঙুর। নাচঘর।
মৃত বেড়ালের ছায়ায় পাখিরা তাঁবু
পাতে।
হেমন্ত
ধান নিয়ে পালিয়ে যাওয়া ইঁদুর একা একা হেমন্তের
মাঠে
আয়না ভেঙে যায়।
নদীকুলে বসতবাড়ি।
সন্দেহপ্রবন হাওয়ায় দেখি মথ,ফড়িং ও
প্রজাপতি।
মায়াদৃশ্যে ম্যাজিক নেই!উঠোনে ধলা মোরগ।
আঙুল ফুলে গেলে হেমন্তের
নিচে বসে থাকি
বাজনা
তুমি বাজনা বাজাবে বলে খুলে এনেছি মৃতের
হাড়
ঘোড়া আছে,অশ্বমেধ নেই।
ঘুঘুর ডানায় যখন রোদ
আমরা তখন কোন না কোন কর্মসূচি বেছে,br> নিই
বিশ্রাম সেরে একটা ঘরে ফিরবার দুপুর
ঘামে ভেজা গামছা।
ধানক্ষেতে জল জমলে উপচে ওঠে
অভিমান
ডুব সাঁতারে আছি। অবসর ভেঙে
অবসাদ।
বাথান
বাথান হারানো মহিষের গল্পে কোন সূত্রধর থাকেন
না
বোরলির ঝাঁক।
পুটি মাছের বিস্তারিত হয়ে ওঠা।
ভোরের আগুনের দিকে দু চারটি মহিষের এগিয়ে
আসা
বাথান মৈশাল দোতরা_এক ফ্রেমে রাখি।
এদিকে বাথান খুঁজে নিতে থাকেন গঞ্জদেশের
মাহুত
নখ ও নেলপালিশ
টেবিলে সাজিয়ে রাখছি মাছের কাঁটা, উলের বল
মাছের কাঁটা নিয়ে পালিয়ে যায় বেড়াল
উলের বল নিয়ে পালিয়ে যায় বেড়াল
নখ ও নেলপালিশ নিয়ে কথা শুরু করি আমরা
চাঁদ
চিবুকে চাঁদ,চাঁদের আলো
আমাদের তাঁবু পুড়ে যাচ্ছে
আমাদের গল্প পুড়ে যাচ্ছে
সিরিজ কবিতায় কুয়াশা জমলে
শিকারিদের ডেকে আনি
আমরা
Debasish Bhattacharya
January 25, 2023 |Darun