অসহবাস
সুপ্রিয় লাহিড়ী

 

গা বমি বমি করছে আর মাথার মধ্যে যেন কেউ হাতুড়ি মারছে। প্রায় দৌড়ে বেরিয়ে এসেছিলাম সুনীলদের বাড়ি থেকে। স্টেশন পর্যন্ত রিক্সায় আসবার সময়ই মাথার হাতুড়িটা শুরু হয়। প্রায় টলতে টলতে  স্টেশনের সিমেন্টের বেঞ্চে এসে বসেছি। হাওড়া বর্ধমান কর্ড লাইনের ছোট্ট এই স্টেশন বকুলতলায় এসে নেমেছিলাম সকাল দশটা নাগাদ। একটা কাজ ছিল। এখন বাজে চারটে, দুপুর একটার সময়ে যখন এখানকার কাজ শেষ করে ফেরার টিকিট কাটতে কাউন্টারে দাঁড়িয়েছি, হঠাৎই কাঁধে একটা হাত আর চেনা এক মিনমিনে মেয়েলি পুরুষ কন্ঠ, – আরে শুভ না? তুই কী করছিস এখানে? ঘাড় ঘুরিয়ে দেখি সুনীল, সুনীল পতিতুন্ড।

আমাদের বাড়ির কাছেই থাকত ওরা।  শেষ কবে দেখেছি ওকে? বছর দশেক তো হবেই; চেহারাটা একই আছে, রোগা রোগা হাত পা, পাঁচ ফুট চার ইঞ্চির বেশি নয়, আর এত্ত বড় একটা মাথা। মুখের সেই একটু নির্বোধ ভাবটাও পাল্টায়নি। তবে একটা স্বাস্থ্যের জেল্লা এসেছে চেহারায়, আগেকার সেই রুগ্ন ভাবটা নেই। সুনীলকে দেখে যে খুব একটা খুশি হলাম, তা নয়। কোনদিনই পছন্দ করতাম না। ওর ছোট বোন, তাপসীটা তাও একটু পদের ছিল। ওর মতই বেঁটে, রোগা, কিন্তু মুখের ঐ বোকা বোকা ভাবটা তাপসীর ছিল না।
মার কাছে শুনেছি, ওদের দাদু, বনহুগলিতে আমাদের আদি মামারবাড়ির কুলপুরোহিত ছিলেন। সেসব অনেকদিন আগেই শেষ হয়ে গেছে, বনহুগলির সেই মামারবাড়িও নেই। সুনীলের বাবা, ভরত মামা সাত ঘাটের জল খেয়ে শেষে চন্দননগরে আমাদের বাড়ির কাছেই খাপরার চাল আর টিনের দেওয়ালের এক কামরার বস্তিঘরে থাকত। পরে শুনেছি দুরবস্থায় পড়ে মার কাছে এসে কেঁদে পড়তে, মাই বাবাকে বলে কয়ে ওখানে থাকার ব্যবস্থা করে দেন। ভরত মামা কোবরেজি করত। তাতে কার কী অসুখ সারত জানি না, তবে ওদের ঘরের সামনে রংচটা ঝুলন্ত সাইনবোর্ডটার তলায় মাঝে মাঝে দুয়েকটা রোগী বসে থাকতে দেখেছি। একদম পছন্দ করতাম না লোকটাকে। তার অনেকগুলো কারণ ছিল।প্রথমত পেটের কৃমি, ছোটখাট পেট খারাপ, সর্দি জ্বরে মার আদেশে বাড়ি বয়ে এসে জঘন্য তেতো তেতো পাঁচন আর গুলি খাইয়ে দিয়ে যেত। দুই, পূজোয় আমার সঙ্গে সঙ্গে মা ঐ সুনীল আর তাপসীর জন্যেও জামাকাপড় কিনতেন। সেগুলো হাত পেতে নিয়ে যেত। আর সবচেয়ে রাগ হত মা বিজয়া দশমীর পরে ভরত মামা আর তার বউ, সর্বজয়া, ছোট করে সবু মামীকে প্রণাম করতে পাঠাতেন বলে। সুনীল তাপসীর জন্মদিনেও যেতে হত।

না, খারাপ ব্যবহার কেউ করত না। বরং ভরত মামা আর সবু মামীকে দেখে মনে হত যেন মস্ত কোন রাজাগজা ওদের বাড়িতে এসেছে। ঘরটাও ছিল অদ্ভুত। একটাই মোটামুটি বড় সাইজের ঘর। তার তিনভাগ জুড়ে একটা চৌকি, তার ওপরে মাদুর বিছানো আর বিছানা গুলো চৌকির একপাশে গুটিয়ে রাখা। ঘরের চার দেওয়ালে, থাকে থাকে সস্তা কাঠের তাক আর হাঁড়িকুড়ি, বাসনপত্র থেকে ছেলেমেয়েদের বইখাতা, একটা আয়না, সামান্য কিছু সাজগোজের জিনিস, পাট করা জামাকাপড়, সবই ওই তাকগুলোর ওপরে। মাথার ওপরে ঘরের এপাশ থেকে ওপাশ পর্যন্ত দু তিনটে দড়ি খাটানো আর তার ওপরে রোজকার পরার লুঙ্গি, ধুতি, শাড়ি, ব্লাউজ, হাফপ্যান্ট গেঞ্জি, ফ্রক, গামছা… সব। ঘরে ঢোকার দরজার উল্টো দিকে আরেকটা ছোট দরজা, সেটা দিয়ে একটা ধাপ নেমে গেলে, দশ বাই পাঁচ সাইজের একটা জায়গা দরমার বেড়া দিয়ে ঘেরা। ওটা ওদের রান্নাঘর। বাথরুম, পায়খানা এজমালি। 

ভরত মামা চুপচাপ মানুষ ছিল কিন্তু সবু মামী? যেন তেত্রিশ আরপিএমের রেকর্ডকে কেউ সেভেন্টিএইট স্পিডে চালিয়ে দিয়েছে। অনর্গল কথা বলত,  নিজেই নিজের প্রশ্নের  উত্তর দিত আর সমানে নিজের ছেলেমেয়ের সঙ্গে আমার তুলনা করত। আমি ভাবতাম, ঐ পাঁচ ফুটিয়া, পঁয়তাল্লিশ কেজি দেহে এত কথা বলার এনার্জি কোথা থেকে আসে? তুলনাগুলো প্ৰথমে হত, বয়েস আর হাইট নিয়ে। আমাকে আর সুনীলকে পাশাপাশি দাঁড় করাত, তখন আমাদের হাইট প্রায় কাছাকাছি- তারপরেই প্রায় হাততালি দিয়ে বলে উঠত,- শুভ, সুনীল কিন্তু তোমার চেয়ে পাঁচ মাসের ছোট। এখন ভাবলে লজ্জা হয় যে বহু আদর যত্নে মানুষ হওয়া আমার সঙ্গে অপুষ্টিতে ভোগা নিজের ছেলের তুলনা করার এই অবাস্তব প্রচেষ্টা দেখে আমার একটুও দয়া মায়া হত না। রাগ হত। কয়েক বছরের মধ্যেই লম্বায় আমি সুনীলকে ছাড়িয়ে নয়, বহু আগে এগিয়ে গেলাম। মামী তখন লম্বা মাপা ছেড়ে দিল। গেলে প্ৰথমেই জিজ্ঞাসা করত,- হাফ ইয়ারলিতে কত পেলে শুভ? 

পড়াশুনায় খারাপ ছিলাম না, বলতাম, -এবার রেজাল্ট ভাল হয়নি, সব সাবজেক্ট মিলিয়ে পঁচাত্তর পার্সেন্ট। -আমার কথা শেষ হবার আগেই সবুমামী বলে উঠত,-সুনীল কিন্তু খারাপ করেনি। পঞ্চান্ন পার্সেন্ট। নারে সুনীল? তুমি কত ভাল ইস্কুলে পড়, আর সুনীল তো এই মিউনিসিপ্যালিটির ইস্কুলে। তাই না? বলে ভরত মামা আর তাপসীর দিকে তাকাত। ভরত মামা মুখ ঘুরিয়ে নিত, তাপসীর একটু বুদ্ধিশুদ্ধি ছিল, ও চোখ নামাত। কিন্তু বোকা সুনীলটা হেসে বুক ফুলিয়ে আমার চোখে চোখ ফেলে যেন একটা চ্যালেঞ্জ দিচ্ছে, এমন ভাব নিয়ে তাকিয়ে থাকত। ইচ্ছে করত ঠাস করে একটা চড়িয়ে দিই। তারপর শুরু হল গানের অত্যাচার। ভরত মামা নাকি একসময় গান শিখেছিলেন। তাপসীর সংগীতশিক্ষা শুরু হল। আর ওদের বাড়ি গেলেই, সকাল নেই, দুপুর নেই, চৌকির তলা থেকে একটা জীর্ণ সিঙ্গল রিড হারমোনিয়াম বেরিয়ে পড়ত আর শুরু হত সবুমামীর,-এই তাপু ঐ গানটা শোনা না শুভকে। তাপসী মোটামুটি গাইতে যে পারত না তা নয় কিন্তু আমার অসহ্য লাগত। দাঁতে দাঁত চেপে বসে থাকতাম কিন্তু মামীর অনুরোধের আসর চার পাঁচটা গানের আগে শেষ হতনা। 

সুনীলকে একলা পেলে মাঝে মাঝে ওর একটা হাত পেঁচিয়ে পিঠের পেছনদিকে ঘুরিয়ে চেপে ধরতাম আর বলতাম,- এই গাধা, তুই আমাকে শুভ শুভ করিস কেন রে, আমি না পাঁচ মাসের বড় তোর চেয়ে। শুভদা বলবি। আমার সঙ্গে গায়ের জোরে পারার কোন প্রশ্নই নেই ওর। কিন্তু যতই হাত মুচকে দিয়ে বলি, ‘এবার থেকে বলবি তো শুভদা? বল বল হাত ভেঙে দেব কিন্তু’- কোনদিন হ্যাঁ বলেনি। একটু বড় হয়ে উঠে মার কথা আর শুনতাম না, যেতাম না ওদের বাড়ি। বাবাই সামলাতেন। কলেজ শেষ করে চাকরি নিয়ে বাইরে চলে গেলাম। ছুটিছাটায় বাড়ি এলে মার মুখে খবর পেতাম। সুনীল বিকম পাস করেছে, তাপসী বিএ করে বিএড করতে ঢুকল, তাপসীর বিয়ের চেষ্টা চলছে, সবুমামীর শরীর ভাল যাচ্ছে না, ভরতমামা কোবরেজি ছেড়ে দিয়েছে, এইসব। আর মাঝে মাঝেই বলতেন, বাবা মা চলে গেলে কী যে হবে ছেলেমেয়ে দুটোর? ঐ মেয়ের বিয়ে হবার চান্স তো দেখছি না। আর বোনের বিয়ে না হলে সুনীলও বিয়ে করবে না। আমি মনে মনে বলতাম, -মাথা খারাপ করার আর বিষয় পেলে না বুঝি তুমি? বছর দশেক আগে প্ৰথমে সবুমামী তারপরে ভরতমামা মারা গেল। আমার বাবা আগেই গিয়েছিলেন, দুহাজার পনেরতে মাও চলে গেলেন। তারপরে কোনরকম ভাবে আর কোন যোগাযোগের চান্সই রইল না। 

যাই হোক এতদিন বাদে দেখা হল, একটু জোর করেই মুখে হাসি এনে বললাম,-আরে সুনীল তুই? ও তাড়াতাড়ি চারদিকে একটু দেখে নিয়ে বলল, -আমরা এখন এখানেই থাকি। আমরা? মানে কে? সুনীল বিয়ে করেছে? তাপসী কোথায় থাকে? কোন প্রশ্ন করার আগেই ও বলল,-তোর একটু সময় আছে তো? এতদিন বাদে দেখা হল, আমাদের বাড়িতে একটু ঘুরে যা। এখানে আমাদের চেনাশুনো কেউ নেই। ভাল লাগবে আমাদের। একটু ইতস্তত করছিলাম। সময় হাতে আছে কিন্তু একদম বাড়িতে গিয়ে হাজির হব? আবার কৌতূহল হচ্ছিল, কেমনভাবে থাকে সুনীল-রা এখন? সেই খাপরার চাল, দরমার বেড়া দেওয়া ঘরে? সুনীল বলল,-চল চল। পিসীমা পিসেমশাই আমাদের খুব ভালবাসতেন। কাছেই থাকি আমরা। রিক্সায় যাবার রাস্তায় ও জানাল, মামা মামী মারা যাবার কিছুদিন পরে ওরা চন্দননগরের বাস তুলে দেয়। এখানে একটা বড় পেপারমিলে সুনীল জুনিয়র একাউন্টেন্টের কাজ করে। -বিয়ে করেছিস? আমি জিজ্ঞাসা করলাম। উল্টোদিকে তাকিয়ে ঘাড় নাড়ল সুনীল। হ্যাঁ কি না কিছু বুঝলামনা।-আর তাপসীর কী খবর? ও কোথায় থাকে? -চল না বলছি সব। ছোট একটা দোতলা বাড়ির সামনে এসে রিক্সাটা থামল। সুনীল বলল একতলায় দু কামরা আর রান্নাঘর ভাড়া নিয়ে ওরা থাকে আর বয়স্ক বাড়িওলা দম্পতি ওপরে। 

বেল বাজাতে দরজা খুলল, আর কেউ না তাপসী! সেই রোগা প্যাংলা চেহারা আর নেই, ভর ভরন্ত হয়ে উঠেছে কোন এক লাবণ্যের ছোঁয়ায়। হেসে বলল,-শুভদা উফ কতকাল পরে! স্টেশনে তোমাকে দেখেই আমাকে ফোন করে বলেছে। এস। খুব সাধারণ আসবাব কিন্তু ছিমছাম সাজান ঘর। একটা চৌকিতে সুন্দর ছাপা বেডকভার দিয়ে ঢাকা বিছানা, একদিকে একটা সস্তা, দুজনের বসার সোফা সেট, একটা ছোট সেন্টার টেবিল আর দেয়ালের কাছে স্ট্যান্ডের ওপরে একটা ছাব্বিশ ইঞ্চি টিভি। জানলাম তাপসী বৈঁচিগ্রামে পঞ্চায়েতের স্কুলে বাংলা আর ইতিহাস পড়ায়। ভাল করে দেখেও তাপসীর চেহারায় বিয়ের কোন চিহ্ন দেখতে পেলাম না। মনে হয় দুজনের কেউই বিয়েথার দিকে যায়নি। ভাল লাগছিল। সেই বিশ্রী পরিবেশ থেকে উঠে এসে ভাইবোনে বেশ আছে, প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। মার দুশ্চিন্তার কথা মনে পড়ল। 

তাপসী একটা প্লেটে মিষ্টি, কুচো নিমকি আর চা নিয়ে এল। খেতে খেতে কথা হচ্ছিল। একসময় বলেই ফেললাম, -খুব ভাল লাগছে রে। বেশ আছিস তোরা দু ভাইবোনে। মা দেখলে খুব খুশি হতেন। খুব চিন্তা করতেন তোদের নিয়ে। একটা ছায়া সরে গেল সুনীল আর তাপসীর মুখের ওপর দিয়ে। দুজনে উঠে আমার সামনে  পাশাপাশি হাত ধরে দাঁড়াল। তাপসী বলল,-শুভদা, আমরা আর সুনীল আর তাপসী পতিতুন্ড নেই। আমরা এখন মিস্টার তাপস দাস আর মিসেস লীলা দাস। আমার স্তম্ভিত ভাবটা কাটার আগেই দুজনের চোখে চোখে কী একটা কথা হল, তাপসী প্রায় দৌড়ে ভেতরের ঘরে চলে গেল। এক মুহূর্ত পরেই ফিরল। কোলে একটা বছর খানেকের মেয়ে। ঘুমোচ্ছে। সুন্দর বাচ্চাটা। -এই দেখ আমাদের মেয়ে। মিষ্টি গলায় আটকে ভয়ঙ্কর একটা বিষম খেলাম আমি। দমফাটা কাশির মধ্যেই শুনতে পাচ্ছি যেন পালা করে দুজনে বলে যাচ্ছে,-আমাদের আর কেউ ছিল না। কেউ আমাদের নিতোও না। তাই আমরা দুজনে দুজনকে নিয়েছি।-এখানে আমাদের কেউ চেনে না। নামধাম সব এফিডেভিট করে পাল্টে নিয়েছি।-কেন অন্যায় হয়েছে? -আমাদের কী ভালবাসার, সংসার করার অধিকার নেই?  কাশি তখন থেমে গেছে, কিন্তু ওদের কথাগুলো যেন কানের মধ্যে সিসে গলিয়ে দিয়ে ঢুকছে। মাথা ঝিমঝিম করছে। কোনরকমে উঠে দাঁড়ালাম, বললাম, -আমি আসছি।  ব্যাগটা নিতে ভুলিনি। রিক্সায় বসে বললাম ‘স্টেশন।’ বেরোতে বেরোতে শুনলাম, তাপসী কান্না গলায় চেঁচাচ্ছে, -আমাদের ধরিয়ে দিও না শুভদা। কাউকে বলো না আমাদের কথা…। দুটো ট্রেন ছেড়ে দিয়েছি, মাথার মধ্যে ট্রেনে ট্রেনে কলিশন হচ্ছে। ভাবলেই একবার গা ঘিনঘিন করে উঠছে। পরমুহূর্তেই কে যেন আমাকে বলছে, -কী রে ইডিয়ট, গান্ডুর মত দৌড়ে পালিয়ে এলি কেন? খুব না পগতি মাড়াতিস? সব পগতির হাওয়া পোঁদ দিয়ে বেরিয়ে গেছে? কী অন্যায়টা করেছে ওরা? এ্যঁ?একটা ঘোরের মধ্যে আবার রিক্সায় উঠলাম। খালি বলে আসব যে আমি কাউকে বলব না। 

বেল বাজাতে দরজাটা একটু ফাঁক করে সুনীলের মুখ দেখা গেল। বলতে গেলাম,- তোরা নিশ্চিন্তে থাকতে পারিস, আমি কাউকে…সেই নির্বোধ মুখটায় এখন আগুনের হল্কা। বলল,- কে আপনি? চিনি না আপনাকে। দড়াম করে মুখের ওপর দরজা বন্ধ হয়ে গেল। আমারও মাথাটা আবার জ্বলে গেল। দরজার দিকে তাকিয়ে চিবিয়ে চিবিয়ে উচ্চারণ করলাম। -বাঞ্চোৎ। গালাগালটা দিয়ে যত আরাম হবে ভেবেছিলাম, হল না কিন্তু।

3 Comments

  • Pradip Roy Chowdhury

    Reply February 4, 2023 |

    টানটান লেখা সুপ্রিয় ! সম্পূর্ণ এক অচানা জগৎ কে দারুণ মুনসীয়ানায় তুলে ধরেছো । শেষের রহস্যময় চমকটাও অসাধারণ লাগলো ।

  • Debamita Chandra

    Reply February 6, 2023 |

    Unbelievably bold subject treated with exceptional sensitivity

    • Supriyo Lahiry

      Reply February 28, 2023 |

      পাঠক প্রতিক্রিয়া পড়ে আনন্দ ও উৎসাহ পেলাম।

Write a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

loading...